চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনে আদালতের পেশকারকে দাবীকৃত ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় হারুন অর রশিদ ফরাজী নামের এক আইনজীবিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষে চরফ্যাসন আদালতে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আইনজীবী সহকারীরা আহত হারুন অর রশিদ ফরাজীকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আইনজীবীদের সুত্রে জানাগেছে।
চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইনজীবি হারুন অর রশিদ ফরাজী অভিযোগ করেন, জিআর ১০৯ মামলার জামিন আবেদনের জন্য মামলার ফটো কপি নিতে তিনি তার সহকারী ইউসুফকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার কমল দে এর কাছে ২শ টাকা নিয়ে পাঠান। ওই সময় পেশকার কমল দে আরোও অতিরিক্ত তিনশ টাকা দাবী করে মামলার নথির ফটোকপি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তার ওই সহকারী ফিরে এলে তিনি নিজে গিয়ে পেশকার কমল দের কাছে বিষয়টি জানতে চান। এসময়ে পেশকার কমল দে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চরফ্যাসনের সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ ও অফিস সহকারী হুমায়ূন সহ ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদের রুমে তাকে আটকে এলোপাথারী মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে আইনজীবী সহকারীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবি সহকারী জানান, আদালতে কর্মচারীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মামলার বাদী বিবাদী পক্ষের নিকট থেকে নানান অযুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বিকার করলে মামলার পক্ষদ্বয়কে হয়রানী করা হয়। পেশকার কমল দে জানান, ঘুষ চাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। আইনজীবী হারুন অর রশিদের সহকারী এসে মামলার মুল নথি চাইলে আমি তা দেইনি। কিছুকক্ষন পরে ওই আইনজীবী এসে আমার সাথে নথি না দেয়ার জন্য তর্কে শুরু করে আমাদের উপর হামলা করেন। সেরেস্তাদার আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার রুমেই পেশকার কমল দে’র সাথে মামলার নথি দেয়া নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছে এর বেশি আমার আর জানা নাই। চরফ্যাসন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালেহ উদ্দিন জানান, আইনজীবীর ওপর আদালতের স্টাফদের হামলার ঘটনায় আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে। চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, এঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি । অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply